ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সালাম বলেন, আত্মার মুক্তি এটা সবচেয়ে মানবধর্ম। আমরা মানবতার পুজা করি। ইরান ইরাকে ভাষা এবং ভাবনার নৈকট্য তৈরি করেছেন রবীন্দ্রনাথ।

তিনি আরো বলেন, সাহিত্যের ক্ষেত্রে যে সেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৃষ্ণা আছে, তাদের যদি আকৃষ্ট করতে পারি তাহলে আমরা সমৃদ্ধ হবো। গোটা বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। মানুষের ভাবের বিনিময় ঘটবে। ভাব ভাবনা থেকে নৈকট্য তৈরি হবে। আমরা যে মানবিক পৃথিবী গড়তে চাই সেটা সহজ হবে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আরব বিশ্বে ঠাকুর ও তার উত্তরাধিকার’ বিষয়ক শিরোনামে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ।

সেমিনারে আরবি ও ভাষা সাহিত্য বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আবদুল মোত্তালিবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও পার্সিয়ান বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. ইসরাত আলী মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক সেমিনার নির্বাহী কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন। এসময় প্রায় দুই শতাধিক বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. এ কে এম শামছুল হক সিদ্দিকী ও প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম।

এসময় বক্তারা বলেন, কবিগুরো ভ্রমণ পিপাসু ছিলেন। এজন্য তিনি অনেক দেশে ভ্রমণ করতেন। নন ইউরোপিয়ান হিসেবে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। এটা গর্বের। তিনি ছিলেন একত্ববাদীর কবি। রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্যের মাধ্যমে আরবদের প্রভাবিত করেছিলেন। তেমনি আরবদের দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন।